যদিও মায়ের প্রতি ভালোবাসাটা বেশি প্রকাশ হয় তবুও বাবার প্রতি নিভৃতে থাকা ভালোবাসার কথা তত বেশি প্রকাশ হয় না, আর হলেও এর গভীরতা ও বিশালতাকে আমরা সবাই মনপ্রাণ দিয়ে অনুভব করি। আমাদের এই অনুভব টিতে এক প্রেরণা ও শক্তি থাকে। জন্মের পর থেকেই মা-বাবার ভালোবাসা আমাদের রক্তে দোলা দেয়। বুকের গভীরে দিয়ে থাকে আনন্দ, সব কষ্ট ও সমস্যায় তাঁদের নিবিড়ভাবে অনুভব করি। আমরা এর মধ্য দিয়ে তখন ঠিকই চিনে নিই তাঁদের দুজনকে। জীবনের অনেক জটিলতার মধ্যেও বাবা-মার ভালোবাসার গভীরতাকে অনুভব করে থাকি আমরা। সন্তান নিয়ে মা-বাবার একটি খুব বেশি স্বপ্ন থাকে। বাবা স্বপ্ন দেখান, পথ দেখান, নির্দেশনাও দেন, কিন্তু বাস্তবতা হলো মা অলক্ষে সেই স্বপ্নটা নিজের মধ্যে সযত্নে ধারণ করে সন্তানের মধ্যে পরম মমতায় রোপণ করেন।
একজন আদর্শ বাবার কর্মকান্ড
একজন আদর্শ বাবার প্রথম চেষ্টা টাই থাকে সন্তানকে সুশিক্ষিত করে এমনভাবে যাতে তারা সুসভ্য, ভদ্র আচরণ, বড়দের, বিশেষ করে মেয়েদের সম্মান করে। বাবা হলেন সবার জীবনের রোল মডেল। সন্তানদের মাথা ছোট হয়, এমন কোনো কাজ তাঁরা কখনোই করবে না। আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু তা ছেলে-মেয়েদের জন্য ছিলেন উদার। তাঁর সাধ ছিল ছেলে-মেয়েরা এমনভাবে শিক্ষিত হবে, যা দেখে তাঁদের গর্ব হবে। তিনি তার সন্তানদের দিয়েছেন স্বাধীনতা কিন্তু নিয়ন্ত্রিত। একজন আদর্শ পিতা সন্তানের জীবনযাপনে সমস্ত পার্থক্য তৈরি করে। তিনিই তাদের শক্তি, সহায়তা এবং ক্ষেত্রের স্তম্ভ। একজন ভালো বাবা তার সন্তানের জন্য য যা করতে পারে তা সবার প্রিয় নেতা জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ও সম্পাদন করেছিলেন তার সন্তানদের জন্য। আসুন সংক্ষেপে এটা নিয়ে আলোচনা করা যাক।
আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র পরিবার
জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু বাহিরের দেশ থেকে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করে নিজ দেশে ফিরে যোগদান করেন বড় ভাইয়ের ব্যবসায়। একজন মানুষ তখনই বিয়ে করে যখন সে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর দক্ষতা অর্জন করে ফেলে। তাই সবার প্রিয় মানুষ “জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’ বাংলাদেশের সনামধন্য শিল্পপতি চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর উপজেলার মরহুম আলহাজ্ব সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর দ্বিতীয় কন্যা “নুর নাহার জামান” এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এরপর তিনি ব্যক্তিজীবনে তিন পুত্র ও চার কন্যা সন্তানের জনক হন।
তার ছেলে-মেয়ের নাম গুলো হলো – সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আসিফুজ্জামান চৌধুরী, আনিসুজ্জামান চৌধুরী, রোকসানা জামান চৌধুরী, আফরোজা জামান চৌধুরী, ফারহানা জামান চৌধুরী এবং নিনা কাওড়াজাকি জামান চৌধুরী।
একজন আদর্শ বাবা – জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু
পরিবার নিয়ে বেশ সুখেই ছিলেন মহান এই নেতা। পরিবারের প্রতি সর্বদা ভালোবাসা ও মায়া প্রকাশ করে থাকতেন তিনি। একজন বাবা’র যা যা করা দরকার তিনি তার পরিপূর্ণ টাই করেছিলেন। একজন আদর্শ বাবা হিসেবে তিনি তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পালন করেছিলেন। নিজের সন্তানদের পারিবারিক আদর্শ শিক্ষা দিয়ে করে তুলেছিলেন প্রতিষ্ঠিত। তিনি যেহেতু একজন শিক্ষিত মানুষ ছিলেন সেহেতু তার মাথায় অবশ্যই তার সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে ভালো কিছু করার চেষ্টা ছিল। এতগুলো সন্তান থাকার পরেও কোন বৈষম্য করেননি তিনি।
তিনি প্রতিটি সন্তানকে চোখের মনি করে রেখেছিলেন। তিনি প্রত্যেককে যথেষ্ট সুশিক্ষা দিয়ে নিজের আদর্শে আদর্শিত করে তুলেছিলেন। যদিও তিনি রাজনীতিতে ও ব্যবসায় খুবই সক্রিয় এবং ব্যস্ততম একজন মানুষ ছিলেন তবুও তিনি ফ্যামিলির সাথে সময় কাটাতে কখনোই ভুলতেন না। কারণ তিনি জানতেন শুধু ক্যারিয়ারের দিকে ফোকাস করলেই হবে না, ফ্যামিলিকেও যথেষ্ট টাইম দিতে হয়। একজন মা তার সন্তানদের একা সামলাতে পারেনা বলেই প্রয়োজন হয় আদর্শ এক বাবার৷ মহান এই মানুষ জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ছিলেন পুরোপুরি আদর্শ এবং মহান একজন বাবা।